১৭০০ ভারতীয় পরিবারকে সম্মাননা দেবে বাংলাদেশ

১৭০০ ভারতীয় পরিবারকে সম্মাননা দেবে বাংলাদেশ

ঢাকা: ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশেষ অবদান রাখায় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় এক হাজার ৭০০ সদস্যের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে এ তথ্য জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।এর আগে এর আগে সকাল ১১টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। সংসদে অধিবেশনে মন্ত্রী বলেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ১ হাজার ৭০০ সদস্যের পরিবারের মধ্য থেকে ১৩টি পরিবারকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। বাকি সম্মাননার ক্রেস্টগুলোতে মূল্যবান ধাতু রৌপ্য দ্বারা নির্মিত স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতি থাকায় তা নিরাপত্তা হেফাজতে সংরক্ষণ করা হয়েছে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্রেস্টগুলো পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। এদিকে নির্বাচন কমিশনকে বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দিয়ে শনিবার সংসদে পাস করা হয়েছে ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ বিল-২০২১। এ আইন অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ ছাড়াই এখন করা যাবে সংসদীয় নির্বাচন।
এর আগের অধিবেশনে গত ৩ জুন বিলটি সংসদে উত্থাপন করেছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। তবে শনিবার সংসদের আলোচনায় এ আইনটি পাস না করে কয়েকজন সংসদ সদস্য জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব দেন। তবে তা কণ্ঠভোটে বাতিল হয়ে যায়। এ আইন কার্যকর হলে ১৯৭৬ সালের ‘দ্য ডিলিমিটেশন অব কন্সটিটিউয়েন্সিস অর্ডিনেন্স’ রহিত হবে।
বিদ্যমান আইনের ৮টি ধারার স্থলে প্রস্তাবিত আইনে ৯টি ধারার প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন ধারাটিতে নির্বাচন কমিশনকে বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা বিদ্যমান আইনে নেই। বিলে আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। সংবিধানের ৬৫ (২) অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সংখ্যক সংসদ সদস্য নির্বাচিত করতে পুরো দেশকে উক্ত সংখ্যক একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকায় ভাগ করার কথা বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভৌগোলিক অখণ্ডতা বজায় রাখা এবং আদমশুমারির ভিত্তিতে যত দূর সম্ভব বাস্তবভিত্তিক বণ্টনের কথা বলা হয়েছে। বিলে বিদ্যমান আইনের ৮ নম্বর ধারায় একটি উপধারা যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে বলা আছে, ‘দৈব-দুর্বিপাকে বা অন্য কোনো কারণে আঞ্চলিক সীমানা নির্ধারণ করা না গেলে বিদ্যমান সীমানার আলোকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ বিলের ৭ ধারায় বলা হয়েছে, ইসির সীমানা নির্ধারণের বিষয় নিয়ে দেশের কোনো আদালত বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন তোলা যাবে না। এ আইনে নির্বাচন কমিশনকে বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা আগের আইনে নেই। এ ছাড়া ইংরেজি আইনটি এখন বাংলায়  অনুবাদ করা হয়েছে। সংসদের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং বাংলায় আইন করতেই মূলত বিলটি আনা হয়েছে। আইন পাসের আগে আলোচনায় বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, বিবিএসের যে জরিপের ওপর ভিত্তি করে এ আইনটি সংশোধন করা হচ্ছে, তার বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। তবে তার বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বিষয়টি সবকিছু যাচাই-বাছাই করেই করা হয়েছে বলে দাবি করেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *