লাইফস্টাইল ডেস্ক: আপনিও যদি কথায় কথায় রেগে যান, তাহলে অবশ্যই আগে জানতে হবে কী কারণে রেগে যাচ্ছেন। যদি মানসিক রোগের কারণে এমনটি হয় তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তার আগে জানতে হবে, আপনি কেন রেগে যাচ্ছেন?
> মানসিক অবসাদ হলো রাগের প্রথম কারণ। এই অসুখের কারণে টানা হতাশা, দুঃখ আসতে পারে। এমন অবস্থায় খুব বেশি দিন থাকলে কথায় কথায় রাগ এবং অভিমান, দুই-ই হতে পারে।
অতিরিক্ত রেগে যাওয়ার লক্ষণ আরও ইঙ্গিত দেয় বাইপোলার ডিজঅর্ডারের। এই অসুখ থাকলে খানিক পরপরই মনের ভাবে পরিবর্তন আসে। অতিরিক্ত আনন্দের মধ্যেও থাকে রাগের অনুভূতি।
> মাদকাসক্ত ব্যক্তিরাও অনেক সময় অতিরিক্ত রাগী প্রকৃতির হয়ে থাকেন। এর কারণ হলো অতিরিক্ত মাদকদ্রব্য শরীরের প্রবেশ করলে হিংস্র ভাব তৈরি করে। চিন্তাশক্তির উপরে মাদকের প্রভাবই এমন করে বলে মত মনোরোগ চিকিৎসকদের।
কীভাবে বুঝবেন রাগ না-কি মানসিক রোগ বাড়ছে আপনার মধ্যে?
কথায় কথায় বিরক্ত হওয়া।
> নেতিবাচক ও খারাপ চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাওয়া।
> হঠাৎ করেই চেঁচামেচি করা।
> উচ্চ রক্তচাপ, বুক ধরফরের মতো শারীরিক সমস্যা বেড়ে যাওয়া।
> সাধারণ কোনো ঘটনাতেও আকস্মিক চুপ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি মানসিক রোগের লক্ষণ।
কীভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণে আনবেন?
অতিরিক্ত রাগের কারণ বুঝতে না পেরে অনেকেই ভুল করে ফেলেন। যাকে যা বলার নয় তা বলে ফেলেন। সমাজ, পরিস্থিতি ও পরিবেশ সম্পর্কে তখন স্বভাবতই ভুলে যেতে হয়।এর ফলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। রাগের বশে অনেক কঠিন সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেন। এ কারণে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। তবে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনবেন রাগ?
> কথা বলার আগে ভাবুন।
> সমস্যায় বিচলিত না হয়ে সমাধান খুঁজুন।
> অতিরিক্ত রাগ হলে শ্বাসের ব্যায়াম করুন।
> পরিবারের কারও উপর রাগ-ক্ষোভ হলে তার সামনে না গিয়ে একাকি সময় কাটান।
> পরিবারের সবার সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন।
> ব্যস্ততার ফাঁকেও অবসর সময় কাটান
> পজেটিভ চিন্তা করুন।
> রাগ করার আগে পরবর্তীতে কী হবে, সেটি নিয়ে ভাবুন।
> নিয়মিত মেডিটেশিন করুন। এতে মনে প্রশান্তি আসে।
> কোন উপায়ে বেশি কাজ হচ্ছে, তা কিছু দিনেই বুঝতে পারবেন।